যখন ফেসবুকে আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা কোন ব্যক্তি তার পরিবারের কোন সদস্যের মারা যাবার কথা বা যেকোনো দুঃখজনক ঘটনা শেয়ার করেন, তখন আপনার সহানুভূতি প্রকাশের জন্য লাইক দেওয়াটা স্বাচ্ছন্দ্যকর দেখায় না। এটা উভয় পক্ষের জন্যই অস্বস্তিকর। এই ধরনের স্ট্যাটাসে বিষণ্ণতা, মতানৈক্য, রাগ বা বিরক্তি, অথবা লাইক ছাড়া অন্যকিছু প্রকাশ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। এরকম স্ট্যাটাসে মনে হয় যে ফেসবুকে সহানুভূতিশীল Dislike বাটন, বা অনুরূপ কিছু থাকা উচিত। আর এরকমই উদ্দেশ্যে ফেসবুকে যুক্ত হতে যাচ্ছে Dislike বাটন।
ফেসবুক কি আসলেই Dislike বাটন নিয়ে আসছে?
উত্তর হচ্ছে হ্যা!
শীঘ্রই আপনার ইচ্ছার বাস্তব রূপ দিতে যাচ্ছে ফেসবুক! গত মঙ্গলবারে একটি প্রশ্ন ও উত্তর (Q&A) সেশনে ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকারবার্গ বলেছেন যে ফেসবুক dislike বাটন আসার পথে।
“People have asked about the ‘dislike’ button for many years,” Zuckerberg told the audience at Facebook’s Menlo Park office.” Today is a special day because today is the day I can say we areworking on it and shipping it.”
প্রতিটা মুহূর্তই একটি ভালো মুহূর্ত না
ফেসবুকের ব্যবহারকারীরা অনেক বছর ধরেই Dislike বাটনের জন্য বলে আসছিলো, কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় এই সাইট আপভোটিং বা ডাউনভোটিং পদ্ধতির কখনো পক্ষে ছিল না।
তৎসত্ত্বেও, ফেসবুক লাইক ও ডিসলাইক বাটন প্রদান করতে যাচ্ছে – তবে একেবারে ভিন্ন পন্থায়।
“What [Facebook users] really want is the ability to express empathy,” Zuckerberg explained. “Not every moment is a good moment.”
অধিকন্তু, অনেক স্ক্যাম আছে ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরছে ব্যবহারকারীদের লাইক বাটনের মাধ্যমে আকর্ষিত করে। Dislike বাটন প্রদানের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অন্যদের স্ক্যামের ব্যাপারে সচেতন করতে পারবে।
তবে, Dislike বাটনকে কেন্দ্র করেই ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধরনের স্ক্যাম বের হয়েছে!
নতুন স্ক্যাম: ফেসবুক Dislike বাটন যুক্ত করুন
ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নতুন একটি স্ক্যামের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে, সিইও মার্ক জুকারবার্গের সম্প্রতি Dislike বাটনের ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে বলার পর থেকে। স্ক্যামাররা ‘আপনার প্রোফাইলে ফেসবুকের নতুন প্রবর্তিত ডিসলাইক বাটন যুক্ত করুন’ বা এজাতীয় শিরোনামে একটি লিংক প্রদান করছে, যা আসলে একটি সাইটের দিকে ব্যবহারকারীদের নিয়ে যায় তাদের সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করার জন্য এবং মেশিনে ম্যালওয়ার ইন্সটল করার জন্য। সেই সাইটে সবাইকে একটি সার্ভে পূরণ করার কথা বলা হয় ব্যক্তিগত তথ্য এবং অ্যাকাউন্ট প্রমাণপত্রাদি সহ। সংগৃহীত তথ্য পরবর্তীতে অপব্যবহৃত হতে পারে আক্রান্ত ব্যবহারকারীর ফ্রেন্ডলিস্টে ম্যালিসিয়াস লিংক পাঠানোর মাধ্যমে অসৎ উদ্দেশ্য ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
সুতরাং, এরপরে যখন এরকম কোনো লিংক কোথাও দেখবেন ভুলেও সেটাতে ক্লিক করবেন না। এটা আপনার অ্যাকাউন্টের এবং আপনার নিজের জন্যেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই, এই টিপসটি শেয়ার করে সবাইকে সতর্ক করে দিন, যাতে করে কেউ এধরনের চক্রান্তের শিকার না হয়।
যদিও জুকারবার্গ কোন নির্দিষ্ট সময়ের কথা উল্লেখ করেন নাই যে কবে Dislike বাটন উদ্বোধন করবেন, তবে আশা করি অতি শীঘ্রই আপনারা ফেসবুকে সংবেদনশীল বিষয়গুলোতে Dislike করতে পারবেন।
আপনার যদি কিছু বলার থাকে নিশ্চিতে নিচে মন্তব্য সেকশনে বলতে পারেন। আজকের মতো এই পর্যন্তই, সবাই ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন এটাই প্রত্যাশা।